শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস

আজ ১৪ ই ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এই দিনে আমরা হারিয়েছি আমাদের দেশের সূর্য সন্তানদের যারা দেশের বিবেক। আমাদের দেশের মানুষকে দাবিয়ে রাখতে ও চিরতরে মেধাশূণ্য করার প্রয়াসে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। ১৯৭১ সালের বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের মাধ্যমে পেরে না উঠতে পেয়ে ভয়ংকর রকম পরিকল্পনা করে পাকিস্তানি বাহিনী। তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান তথা বর্তমান বাংলাদেশের মানুষের অধিকার হরণ করে স্বেচ্ছারিতার মাধ্যমে শাসন পরিচালনা। কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক আচরণ, ভাষা, শিক্ষা ও সরকার গঠনের মতো বিষয়ে টালবাহানা শুরু করায় এদেশের মানুষ ফুলে ফেপে ওঠে। ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের পেছনের কারণগুলো নিচে বর্ণনা করা হলোঃ ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ পাক-ভারত দুইটি আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত হয়। যার প্রধান নিয়ামক হয় ধর্ম। ধর্মের সংখ্যা গরিষ্ঠতার মাধ্যমে ভাগ হয় দুটি দেশ। ভারত অংশ ভাগ হয় হিন্দু সংখ্যা গরিষ্ঠতার কারণে আর পাকিস্তান গঠিত হয় মুসলিম তথা ইসলামে বিশ্বাসী সংখ্যা গরিষ্ঠতার জন্য৷ পাকিস্তানের দুটি অংশ ছিল একটি পশ্চিম পাকিস্তান আরেক পূর্ব পাকিস্তান। পাকিস্তান স্বাধীন হবার পর থেকেই পাকিস্তানের ক্ষমতা দখল করে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী। তাঁরা শাসক হয়ে শুরু করে দুই অংশের প্রতি দুই নীতি। পশ্চিম পাকিস্তান সবকিছুই বেশি সুযোগ সুবিধা ভোগ করতো। পূর্ব পাকিস্তানের মানুষকে তাদের সমান অধিকার থেকে করা হতো বঞ্চিত। সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, চাকরি, কৃষি, সরকার ব্যবস্থা এমনকি ভাষার প্রতিও চলে তাদের হস্তক্ষেপের চূড়ান্ত পর্যায়।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

টালি খাতা

খুলছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

পানির পাম্পের যাবতীয় সমস্যার সমাধান।